গাইবান্ধা থেকে,মোনায়েম মন্ডল
গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলাধীন ব্যস্ততম এলাকার নাম হাট লক্ষ্মীপুর টেম্পু স্ট্যান্ডে মূল রাস্তার এক'শ ফুট অংশ খানাখন্দে হাঁটু পরিমান কাঁদা পানি। চলাচলে অযোগ্য। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। বিরম্বনায় পড়ছে হাটুরে, পথচারী সহ স্কুলগামী ছেলে মেয়েরা। কিন্তু দেখার কেউ নেই!
মোনায়েম মন্ডল: গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের হাট লক্ষ্মীপুর টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে মূল রাস্তা খানাখন্দে পরিপূর্ণ হওয়ায় চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। হাঁটু পরিমান কাঁদা পানিতে সয়লাব এই খানাখন্দের কারণে বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে হাটুরে, পথচারী সহ স্কুলগামী ছেলে মেয়েদেরকে। কিন্তু দেখার কেউ নেই!
এলাকাবাসী অভিযোগে জানান, প্রায় তিন বছর পৃর্বে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের হাট লক্ষীপুর টেম্পো ষ্টান্ড সংলগ্ন মেইন রাস্তাটি খানাখন্দ ও গর্ত হয়ে প্রায় এক'শ ফুট পরিমান রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতে ছোট ছোট যানবাহন তো বটেই বড় বা ভারী যানবাহনও চলাচলে হাজারো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ সংক্রান্ত ছবিসহ অসংখ্য সংবাদ বা প্রতিবেদন সামাজিক মাধ্যম 'ফেসবুক' সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলেও অদ্যাবধী কোন প্রতিকার মেলেনি।
সুত্র জানায়, মাত্র এই এক'শ ফুট পরিমান রাস্তায় অস্থায়ী ভিত্তিতে রাবিস ইট ফেলে দিয়ে যানবাহন সহ পথচারী চলাচলে উপযোগী করা সম্ভব হলেও সংশ্লিষ্টরা দেখেও না দেখার ভান করছে।
এমনকি- স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধির অর্থাৎ জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক এলাকার জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও এই খানাখন্দের অংশটুকু মেরামত করে দেয়া সম্ভব হলেও এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান
মোস্তাফিজুর রহমান বাদলও ব্যাবস্থা গ্ৰহণ করেনি।
সুত্র আরো জানায়, এই লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে রয়েছে একটি বিরাট গরু ছাগলের হাট ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস, যেখানে থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। আছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এই লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জমি কেনা বেচায় গাইবান্ধা সদর রেজিঃ অফিস থেকে আসে ১ পার্সেন্ট এর লক্ষ লক্ষ টাকা। তার পরও জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে গেছে মাত্র এই এক'শ ফুট পরিমান রাস্তার কারণে। শুধু তাই নয়, এলজিডি সহ উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য রয়েছে বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর। কিন্তু এই সকল দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছেন।
তাই এলাকার ভূক্তভোগী সচেতন জনগণ সাময়িক সময়ের জন্য হলেও জরুরি ভিত্তিতে রাবিস ইট ফেলে দিয়ে যানবাহন চলাচল সহ পথচারী চলাচলে উপযোগী করে তুলতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।